Partnership deed Preparation

কিভাবে এই যৌথ মালিকানার চুক্তিপত্র তৈরী করা যায় ?

যৌথ মালিকানার চুক্তিপত্রটি আপনি দুইভাবে তৈরী করতে পারেন ।

  • এক – যারা যৌথভাবে ব্যবসাটি পরিচালনা করবেন তারা তাদের শর্তসমূহ, বিনিয়োগ, লভ্যাংশ বন্টন, কার্যক্রম, ইত্যাদি ২০০০ (দুই হাজার) টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এর উপর লিখে সকলে, ২-৩ জন স্বাক্ষীগণের সামনে স্বাক্ষর করে, নোটারী পাবলিক করে নিতে পারেন এর পর তার এই যৌথ মালিকানার চুক্তিপত্র দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স করে ব্যবসার অন্যান্য যাবতীয় বৈধ কাগজপত্র তৈরী করে ব্যবসা শুরু এবং চালিয়ে নিতে পারেন ।
  • দুই- উপরের নিয়ম মেনে যৌথ মালিকানার চুক্তিটি নোটারী পাবলিক করার পর, আরো কিছু নিয়ম মেনে, যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয় থেকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী আইন অনুযায়ী রেজিষ্ট্রেমন করে নেয়া যায় ।

উপরে উল্লেখিত দুইটি পদ্ধতিই বৈধ এবং যে কোন একটা অনুসরন করে যৌথ মালিকানার ব্যবসার শুরু করা এবং চালিয়ে নেয়া যায় ।

কিভাবে বুঝবো যে কোন যৌথ মালিকানার ব্যবসাটি যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয় নিবন্ধিত এবং কোনটি নয় ।

যখন কোন যৌথ মালিকানার কোম্পানী যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয় থেকে রেজিষ্ট্রেশন বা নিবন্ধন নেন তখন সেই কোম্পানীর নামের আগে মেসার্স (M/s) শব্দটি লেখা থাকে যা কিনা অনিবন্ধিত যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানীর আগে লেখা থাকে না ।

যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয় থেকে নিবন্ধন নিলে সুবিধা কি বা নিবন্ধন না নিলে অসুবিধা কি হতে পারে ?

যৌথ মালিকানার ব্যবসা যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয় থেকে নিবন্ধন নেয়ার সুবিধা বা অসুবিধা অনেকটাই নির্ভর করে যৌথ কোম্পানীর মালিকদের আচরন, ব্যবসা পরিচালনার দক্ষতা ইত্যাদির উপর । আমাদের দেশে একটি কথা প্রচলিত আছে যে, এদেশে যত তারাতারি যৌথ মালিকানার ব্যবসা শুরু হয় তার চেয়ে দ্রুত যৌথ মালিকানার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় । কথাটি পুরোপুরো সত্য না হলেও অনেকাংশেই সত্য । যৌথ মালিকানার ব্যবসা নিবন্ধন না করার সুবিধা হলো যৌথ মালিকানার ব্যবসাটির বৈধ কাগজপত্র তৈরী করতে তুলনামুলক খরচ কম লাগে, নিবন্ধন করলে খরচ তুলনামুলক বেশি লাগে । যৌথ মালিকানার ব্যবসা কোন কারনে বন্ধ করে দিতে হলে তুলনামূলক স্বল্প সময়ে এবং স্বল্প খরচে এটি বন্ধ করে দেয়া যায়, নিবন্ধন করা ব্যবসাটি বন্ধ করে দিতে তুলনামুলক খরচ এবং সময় বেশি লাগে । সাধারনত খুব কাছের, নিজেদের লোকেদের মধ্যে যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসাটি নিবন্ধন ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে পরিচালনা করা যায়, কিন্তু একটু দুরের, বা বাহিরের বিনিয়োগকারীদের সাথে নিবন্ধন ছাড়া দীর্ঘ সময় ব্যবসা পরিচালনা করা আস্থার অভাবে কঠিন হয়ে পড়ে ।

এছাড়াও যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসার নিবন্ধন করার অরেক সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে । যার বেশির ভাগই নির্ভর করে সময়, সুযোগ, পার্টনার, ব্যবসার ধরন, ইত্যাদির উপর ।

এছাড়াও যৌথ মালিকানার সকল মালিকদের পাশাপাশি ব্যবসার নামে একটি ই-টিন সার্টিফিকেট খুলতে হয়