Copywrite Certification

কপিরাইট কি ? কি কি বিষয় কপিরাইট করা যায় ?

কোন সৃজনশীল কর্মেও উপর সৃজনকারীর নৈতিক এবং আর্থিক অধিকারই হচ্ছে কপিরাইট । আমাদের দেশে একটা প্রচলিত ধারনা আছে যে, অনেকেই মনে করে, কপিরাইট বিষয়টি শুধুমাত্র বই এবং সিনেমার মধ্যে সীমাবদ্ধ । অথচ আপনি চাইলে আপনার মোবাইল এ্যাপস, ওয়েবসাইট, সফটওয়ার, সাহিত্য, শিল্প, নাটক, সংগীত, ইত্যাদি বিষয় কপিরাইট করে আপনার সৃজনশীল কাজের উপর আপনার নৈতিক ও আর্থিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন ।

কপিরাইট করার সুবিধা কি ?

  • কপিরাইট নিবন্ধন করলে নিজের ও উত্তরাধিকারীর মালিকানা সুরক্ষা নিশ্চিত হয় ।
  • আইনগত জটিলতায় মালিকানার প্রমানপত্র হিসাবে আদালতে কপিরাইট সনদ ব্যবহার করা যায় ।

আমাদের একটি সফটওয়ার আছে এটাকে আমরা কিভাবে কপিরাইট করতে পারি?

প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত উভয় ধরনের সফটওয়্যার কপিরাইট করা যায় । কপিরাইট আইন, ২০০০ এর ২৮ (ক) ধারার বিধান মতে সফটওয়্যার কপিরাইট করা হয় এবং এর মেয়াদ যে বছর সফটওয়্যারটি প্রকাশিত হবে তার পরবর্তী পηিকাবর্ষের শুরু থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত থাকবে ।

ট্রেডমার্ক এবং কপিরাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি?

কোম্পানীর/পণ্যের ব্যান্ড নাম, লোগো, ট্যাগ লাইন ইত্যাদি ট্রেড মার্ক এর অন্তর্ভুক্ত, এবং এটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের, অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর থেকে সংগ্রহ করতে হয় । এটি একটি আন্তর্জাতিক ডকুমেন্ট একবার আপনার কোম্পানীর /পণ্যেও নাম, লোগো, ট্যাগ লাইন ইত্যাদি রেজিষ্ট্রেশন হয়ে গেলে সেটা বিশ^ ব্যাপী কার্যকর হবে । সাধারনত আবেদন করার এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন এর পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পর্ণ হয় ।

সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর অধীন, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস থেকে দেয়া হয় । বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস থেকে আপনি আপনার সৃজনশীল বই, মোবাইল এ্যাপস, ওয়েবসাইট, সফটওয়ার, সাহিত্য, শিল্প, নাটক, সিনেমা, সংগীত, ইত্যাদি কপিরাইট করে রাখতে পারেন । এই কপিরাইট এর অধিকার শুধুমাত্র বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ । সাধারনত আবেদন করার ৩০ কর্মদিবস এর মধ্যে কপিরাইট এর সার্টিফিকেট পাওয়া যায় ।